Saturday, January 2, 2016

The days of superannuation I am contemplating to pass

Its only 8 more months remain to bid farewell to the job I am assigned to. A big part of my life is associated to the organization that has paid me wages in exchange of undertaking daily duty that I will be missing in the days to come. But I am eagerly waiting to see the day I will be given a see off on the main entrance of the office that shall never see me again rushing in the early morning to record my presence. I shall leave memories behind its door.

Some friends and associates are found interested to know my next job and are rather found concerned whether a talent of my kind should be re-utilized to earn something more in addition to what pension benefits I am expected to accrue for the service rendered already. listening to the admiration my smiley face goes brighten. I endorse them with a shoulder jerk reaction and go off the scene. Perhaps, I shall not be able to dodge the family  I created and that shall kindly tolerate me to stay there without job. The reality would bite me regularly I apprehend.

During the long family life, not a single day was passed without any talk of money needed to do this and that, which is unlikely to vanish during those days of superannuation. It would rather enhance in terms of demand and supply as the resource would be less than the limited. With the elasticity of demand to be created with new members in by wedding of sons and their new born babies, the supply may be shortened with shortage of liquid cash in my purse.    

Even if sons become good earning guys, it is unlikely they will be sharing everything under the single unit family. The morning shows the day. The talk has not lost its relevance. When I see the kids fight for an exchange of a trouser or T shirt use, its hard to rely they would be sharing food from one kitchen by sharing the cost as much as they can besides looking after their parents in dire needs. 

                             contd..... 

     



 

Wednesday, April 29, 2015

অনুগল্প

                                     প্রেম                                   শেখর রায় 
                                                          
জয়শ্রী তুই নেই কাছে। তবু এই নববর্ষের কঘণ্টা আগে অপ্রত্যাশিত ভাবে তুই এসে দাঁড়ালি বই পাড়ায় বিদ্যাসাগরের অবয়বটির সামনে। চারদিক থমথমে যেন কেউ বাতাস মুঠোর মধ্যে ধরে আটকে রেখেছে। পথে বাস ট্রাম নেই। অবাক।
সেই দঃ কলকাতার ডোভার লেন থেকে মধ্য কলকাতায় এলি কি ভাবে রে পাগলি?
বলে, কেন হেঁটে।
তোর ভয় করে নি?
আমার ভয় পাবার থেকে তোমার জীবন বাঁচানো অনেক জরুরী। তর্জনী নির্দেশ করে বলে, ঐ দেখো পিছন ফিরে দেশরক্ষকদের প্রস্তুতি। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবাসনে দেশের স্বার্থে ধরপাকর করার লক্ষে আগুয়ান বাহিনী। কি হাঁদার মত পার্কের এক কোনে বসে বই পড়ে যাচ্ছ। কোন হুশ নেই তোমার। খবরটাও পাওনি যে ওরা তোমাকে জামাই আদর করবে বলে খুঁজে চলেছে। আর এক মুহূর্ত নয় এখানে। নাও, আমার হাত ধরো। কাঁধের ঝোলা দাও আমায়। একটু ভান কর যে তুমি খুব অসুস্থ। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছ। আর মনে কর আমি তোমার বিয়ে করা ইস্ত্রী। (মুখে স্মিত হাসি।) তাই মাথায় দিলাম ঘোমটা।
আমি হতবাক এবং জয়শ্রীকে আত্ম সমর্পণ। তাকে নীরব অনুসরন। না, তবু পারেনি জয়শ্রী তার প্রিয় মানুষটিকে যমদূতের হাত থেকে বাঁচাতে।
পরদিন পয়লা বৈশাখ। শুনতে পাচ্ছি, রবীন্দ্রগীতি, 'এসো হে বৈশাখ, এসো এসো'। লম্বা লম্বা লোহার গরাদে হাত রেখে দাড়িয়ে ছিলাম মাথা অবনত করে। ভাবছিলাম, কি এমন দেশবিরোধী কাজ করলাম ! শুধু কিছু কবিতা ও দুচার লাইন গল্প ছাড়া আর কি অশ্বডিম্ব করিয়াছি প্রসব। হঠাৎ হাতের উপর আর এক কোমল অনিন্দ সুন্দর এক রমণীয় হাতের প্রিয় স্পর্শ।
আবার তুমি জয়শ্রী? কেন এলে এই মৃত্যুর কারাগারে?
তোমাকে একটা ছোট্ট কথা বলতে।
কি আবার বলবি রে তুই, হ্যা?
বকা দাও কেন। আমি তোমাকে ভালবাসি।            
এবারও হলাম হতবাক, শুধু ওর গ্রীক সৌন্দর্যের রোমান্টিক স্বেদশুভ্র মুখশ্রীর ওপর দীঘল টানা নীল চোখের দিকে অপলক চেয়ে থাকা। কতক্ষন মনে নেই। যার প্রতি কোনদিন মনোনিবেশ করতে পারিনি। শুধু যাকে চেনা মানুষ বলে ভেবেছি। তার পেটে না থুড়ি হৃদয়ে যে এই অনার্য যুবকের প্রতি এতো মমত্ব, এতো প্রেম। না না, মনে হয়েছিল এক দিবাস্বপ্নে ভেসে চলেছি। জয়শ্রী সুচিত্রা মিত্রের প্রিয় ছাত্রি। গরাদের ওপারে দাড়িয়ে গাইল তার মনের মানুষটির উদ্দেশে, "তোমায় নতুন করে পাব বলে, হারাই বারে বার"। না, আমি কোনদিন তাকে পাইনি আপন করে। কারন, বিনাবিচারে রাষ্ট্র দ্রোহিতার অভিযোগে বেকার এক রাজনৈতিক বন্দীর সাথে কেউ অমন সুন্দরী শিক্ষিতা মেয়ের বিয়ে দ্যায় নাকি। জয়শ্রী হারিয়ে গেছে। কিন্তু হারায়নি তার সুখ স্মৃতিটুকু। সে ফিরে ফিরে আসে নববর্ষের সাথে স্মৃতি রোমন্থনে।

                                     *************            

Thursday, August 7, 2014

ইসলামের সৌন্দর্য্য

কিন্তু সাধারণ মুসলিম জনগণ এই উপদেশ বা রসুলের আদেশ অবজ্ঞা করেন 

রসূল (সা) বলেছেনঃ যদি কোন ব্যক্তি মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে বসবাসকারী মুসলিম নাগরিক বা মুসলিম দেশে অবস্থানকারী অমুসলিম দেশের কোনো অমুসলিম নাগরিককে হত্যা করে তবে সে জান্নাতের সুগন্ধও লাভ করতে পারবে না, যদিও জান্নাতের সুগন্ধ ৪০ বৎসরের দুরত্ব থেকে লাভ করা যায়সহীহ আল-বুখারী, হাদীস /২৫৩৩

বিধর্মীকে হত্যা করা তো দূরের কথা, বিধর্মীদের সাথে অভদ্র আচরণ করতেও নিষেধ করা হয়েছে, তাদের ধর্মবিশ্বাস বা উপাস্যদেরকে গালি দিতেও নিষেধ করা হয়েছে, মুসলিম তার নিজের বিশ্বাসের শ্রেষ্টত্ব বর্ণনা করবেন, তবে কারো অনুভূতিকে আহত করবে নামহান আল্লাহ্ বলেন, "তাঁরা আল্লাহকে ছেড়ে যাদেরকে ডাকে তাদেরকে তোমরা গালি দিও না; কারণ এতে তারাও সীমা লংঘন করে অজ্ঞতাবশত: আল্লাহকে গালি দিবে” [আল- আনআম, আয়াত ১০৮]
Bottom of Form


Sunday, June 29, 2014

True Kuufaar and munafiqrs

For decades, this book "Jihad in name of Allah" has been standard text in all Saudi schools. It has a collection of essays by Syed Maududi, Syed Qutb and HassanAlBanna urging Muslim youth to take up arms and wage war on the 'kufaar', the Jew, Christian, Hindu, atheists and the West. Now why are we surprised that after 50 years of indoctrination, some pupils are doing exactly what the West's primary ally in the Middle-East asked them to do?

Thursday, May 29, 2014

আসামে ১৯শে মে ১৯৬১ বাংলাভাষা আন্দলনের ইতিহাস


                        
১৯শে মে ১৯৬১ সময় ২-৩৫ মিনিট আসাম রাইফেলসের রাইফেল থেকে চলল ১৭ রাউনড গুলি। ৯ জন বাংলা ভাষা শহিদের রক্তে লাল হোল তারাপুর ষ্টেশন সংলগ্ন জনপথ। ১২ জন আহত হয়ে লুটিয়ে পড়লেন পথে। ২ জন পরে হাসপাতালে প্রান ত্যাগ করলেন। কৃষ্ণ কান্ত বিশ্বাস বুকে বুলেট নিয়ে ২৪ বছর বেঁচে রইলেন।

কি তাদের অন্যায়? কি ছেয়েছিলেন তারা? তাদের অন্যায় ছিল তারা আসাম রাজ্য সরকারের একমুখী ভাষা নীতির প্রতিবাদ করছিলেন। তারা ছেয়েছিলেন একমাত্র অসমিয়াকে সরকারি স্বীকৃত ভাষা করা চলবে না, বাংলা  ভাষাকেও সমানাধিকার দিতে হবে। প্রতিবাদ করেছিলেন যে এক তৃতীয়াংশের ভাষাকে দুই তৃতীয়াংশের ওপর চাপিয়ে দেয়া চলবে না।

অসমিয়া বিধানসভায় বাঙ্গালি বিধায়ক রনেন্দ্র মোহন দাসের বিরোধিতা সত্তেও ২৪শে অক্টোবর ১৯৬০ একমাত্র অসমিয়াকে সরকারি স্বীকৃত ভাষা করার প্রস্তাব পাশ করা হয়। এইভাবে উগ্র জাতিসত্তার আক্রমন তিব্রতর হয়ে উঠল। শুরু হোল ‘বঙ্গাল খেদা’ আক্রমন।  বহু নিরীহ প্রান অকালে ঝরে গেলো, বহু মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া হল।

শত সহস্র হিন্দু নরনারী যারা পূর্ব বঙ্গে মুসলমানের আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে পার্শ্ববর্তী আসামের জঙ্গল পরিস্কার করে সামান্য ছাষবাস করে, ছোট ব্যাবসা করে অতি কষ্টে শরণার্থীর জীবন ধারন করছিলেন তারাই হলেন অসমিয়া শাসক গোষ্ঠীর আক্রমনের লক্ষ্যবস্তু। তথাপি তারা নিজেদের ভাষা সংস্কৃতি বিসর্জন দেননি।  তারা ছেয়েছিলেন বাংলা ভাষার মর্যাদার প্রতিষ্ঠা। ১০ই অক্টোবর ১৯৬০, যেদিন অসমের কংগ্রেসি মুখ্য মন্ত্রি বিমল প্রসাদ চালিহা গুয়াহাটি বিধানসভাতে সেই প্রস্তাব রাখলেন, প্রতিবাদের শুরু সেদিন থেকে।

সংখ্যাগুরু অন-অসমিয় জনগনের উপর অসমিয়া ভাষা চাপিয়ে দেয়া আইন প্রত্যাহার করার লক্ষে বাঙালি অধ্যুষিত বরাক ভ্যালিতে ৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬১তে গঠিত হোল স্বর্গীয় রথিন্দ্রনাথ সেনের নেতৃত্তে কাছার গন সংগ্রাম পরিষদ।  ১৪ই এপ্রিল ’৬১ তে সিলচর, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি পালিত হোল সংকল্প দিবস। ২৪শে এপ্রিল  সিলচর, করিমগঞ্জ সহ বরাক ভ্যালিতে শুরু হোল ২০০ মাইল ব্যাপি দীর্ঘ পদযাত্রা। উদ্দেশ্য বাংলা ভাষার দাবিতে সমর্থন ও জনচেতনা বৃদ্ধি। মহতি পদযাত্রার ইতি হোল সিলচর টাউনে ২রা মে ‘৬১তে।

অহিংস শান্তিপূর্ণ গনতান্ত্রিক আন্দলন বাঙালি বিদ্বেষী অসমিয়া শাসক গোষ্ঠীকে কোন ভাবেই বিচলিত করেনি। বরাক উপত্যকায় কাছার গন সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্তে ১৯শে মে ১৯৬১ সর্বাত্মক ধর্মঘট ছিল তার অনিবার্য পরিণতি।  কিন্তু ধর্মঘট ভাঙ্গার চক্রান্ত থেমে ছিল না। থেমে ছিল না বাংলা ভাষার আন্দোলনকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া। এতদ সত্তেও ভাষা আন্দলনের জন ভিত্তি ক্রমশঃ দৃঢ়তর হয়ে উঠছিল। কারন, পরিষদ দাবী তোলে যে বাংলা সহ অন্যান্য আদিবাসী ভাষা গুলিকেও সরকারি স্বীকৃতি দিতে হবে।

ক্রমশঃ কোনঠাসা সরকার এক ব্যাপক গন আন্দলন ভাঙতে ভারতীয় সেনা বাহিনিকে তলব করল। ১২ই মে ’৬১ এল অসম রাইফেলস, মাদ্রাস রেজিমেন্ট, সেন্ট্রাল রিসার্ভ পুলিশ। শুরু হোল রুট মার্চ, ব্যাপক ধরপাকড়। ভাষা আন্দলনের তিনজন প্রধান নেতৃত্বদানকারী নলিনিকান্ত দাস, রথিন্দ্রনাথ সেন এবং  যুব শক্তি পত্রিকার সম্পাদক বিধু ভূষণ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হোল। চলল প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। চলল বেপরয়া পুলিশের লাঠি চার্জ।

১৯শে মে ’৬১ শুরু হোল সর্বাত্মক ধর্মঘট।  সকাল থেকে ঐ দিন সিলচর, করিম গঞ্জ, হাইলাকান্দিতে সরকারি অফিস, আদালত, রেল ষ্টেশন ইত্যাদি স্থানে চলল শান্তিপূর্ণ ধর্না আন্দলন। ঘোষণা হোল, সিলচর থেকে বিকেল ৪-০০ টার শেষ ট্রেন চোলে গেলে উঠে যাবে ধর্মঘট। ট্রেন ঠিক সময়ে ছেড়ে চোলে গেলো। কেউ আটকায়নি। ষ্টেশন থেকে ঐ ট্রেনের জন্য একজন যাত্রীও পাওয়া গেলো না, একটা টিকিটও বিক্রি হয় নি। এমনই জনসমর্থন। তথাপি আন্দোলনকারী জনগণকে শিক্ষা দিতে পুলিশ, মিলিটারি দিয়ে গন হত্যা করতে হোল। পরের দিন ভাষা শহিদদের দেহ নিয়ে চলল মহা মিছিল। সেই মিছিলের উপরেও চলল লাঠি, গুলি। তবু সরকারের জয় হোল না। বাংলা ভাষার জয় হোল। অসমিয়ার পাশাপাশি বাংলা ভাষা সরকারি স্বীকৃতি লাভ করল।

                                                          ..............................


Wednesday, May 28, 2014

কুহেলিকা মিত্র

কুহেলিকা মিত্রের প্রতি                                           শেখর রায়  
      

অনন্ত কাল শুধু হাঁটছি
আর হাঁটছি
তবু শেষ হোল নাকো পথ

অতলান্ত থেকে প্রশান্ত
সমুদ্রগভীর হৃদয় খোঁজে
অমুল্য রতন

দীপান্বিতা যেন কথার কথা
তাঁর অনুজ্জ্বল দীপশিখার ক্ষীণ আলোয়
অস্পষ্ট পথরেখা
যেন পথ মেলে নাকো পথে

তবু হাঁটছি
অনন্ত কাল শুধু হাঁটছি
আর দেখছি
এক মিত্রহীন কুহেলিকা
চলে গেছে অনেক অনেক দূরে ।


কুহেলিকা মিত্র 

একদিন পথে যেতে যেতে দুজনে
দুদিকের শুভ্র কাশবনে
দেখি, সেই ভর সন্ধ্যায় জ্বলে
জোনাকমালিকা
যেন এক নক্ষত্রপুন্জ এসেছে নেমে
কোপাই এর বিবর্ণ প্রাঙ্গনে
তোমার কি মনে পড়ে
হে মিত্র কুহেলিকা ?  

কুহেলিকা মিত্র ২

আমার সম্মুখে সুদীর্ঘ নদী
তবু আমি তৃষ্ণার্ত
কুহেলিকা মিত্র।
কোন এক অমর্ত্য সঙ্গিতে জেগেছিল সুর
নদীর কলস্বনে,
অনাবিল ছন্দিত মন্ত্রে
অনুচ্ছারিত সেই মিথ
ভেসেছিল জলজ উচ্ছাসে
তবু কেন অরন্যবহ্নি সমস্ত বুক জুড়ে আর
অব্যক্ত কোন এক নিদারুন শঙ্কা
হে মিত্র কুহেলিকা ।

..................